সংবাদচর্চা রিপোর্ট:
শেষ ধাপে নারায়ণগঞ্জ বন্দর উপজেলা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। যেখানে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনীত একমাত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী থাকায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয় বন্দর আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ রশিদ। বন্দর উপজেলা নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীদের সরব উপস্থিতি ঘিরেই ছিলো ভোটের উত্তাপ। কিন্তু এক অদৃশ্য শক্তির ইশারায় সরব প্রার্থীদের হঠাৎ নিবর হতে দেখা যায়। আর এই নিরব ভূমিকা পালনে প্রভাবশালী জনপ্রতিনিধির অদৃশ্য হাতের ইশারা রয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া যায়।
জানা যায়, বন্দর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে একমাত্র চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী বন্দর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ রশিদ। একক প্রার্থী হওয়াতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নিবাচিত হয়েছেন তিনি। এ ছাড়া ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫ ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বৈধ হওয়ার ফলে ৮প্রার্থী মিলেই নির্বাচনি মাঠ গরম করে রেখেছেন।
নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা যায়, ভাইস চেয়ারম্যান পদে মো. নুরুজ্জামান, হাফেজ পারভেজ, মো. সানাউল্লাহ সানু ও শহিদুল ইসলাম জুয়েল, আক্তার হোসেন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে সালিমা হোসেন, নুরুন্নাহার বেগম ও মাহমুদা আক্তার নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
কিন্তু গত শনিবার (১ মে) এর পর থেকে প্রার্থীদের মাঠে তেমন একটা সরব ভূমিকায় দেখা যাচ্ছে না। সানা উল্লাহ সানু ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সালিমা হোসেন ছাড়া কেউ নির্বাচন করবেন না বলেই সূত্রে জানা যায়। বন্দর উপজেলায় একজন প্রভাবশালী জনপ্রতিনিধির ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে প্রার্থীদের নিয়ে সমঝোতায় বসেন তিনি সেই প্রভাবাশালী জনপ্রতিনিধি। নিজের প্রার্থী সানাউল্লাহ সানু এবং সালিমা হোসেনকে যেভাবেই হউক নির্বাচিত করবেন বলেই সূত্রে জানা যায়। নিজের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ডেকে নিয়ে কাউকে ব্ল্যাক মেইলও করেছেন সেই জনপ্রতিনিধি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রার্থী বলেছেন, আমাদের বন্দর থানার বেশ কয়েকজন ইউপি চেয়ারম্যান ফোন করে একটি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে যেতে বলেন। সেখানে উপস্থিত হলে আমাদের কড়াকড়িভাবে নির্দেশ দেওয়া হয়। যেনো আমরা নির্বাচন থেকে সরে যাই।
তবে প্রার্থীদের প্রতি এহেন কর্মকান্ডে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বন্দর উপজেলার ভোট প্রয়োগ থেকে বঞ্চিত সাধারণ মানুষ। তবে এখনো পর্যন্ত ভোটের মাঠ থেকে আনুষ্ঠানিক ভাবে সরেছেন কিনা তা জানা যায়নি।
প্রসঙ্গত, নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ১৮ জুন বলেই নির্বাচন কমিশন জানান।